চিকিৎসা বিজ্ঞানে যে যুগান্তকারী চিকিৎসা পদ্ধিগুলো বিশ্বে সাড়া ফেলে দিয়েছে!

ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৭

নতুন নতুন প্রজুক্তির প্রতিযোযোগিতায় একের পর এক জায়ান্ট কোম্পানিগুলো বিস্ময়কর সব টেকনোলোজি  উদ্ভাবন করে আসছে। ২০১৬ সালের চিকিৎসা বিজ্ঞানে সুংযোজন হয়েছে  নতুন কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি এবং প্রজুক্তি।

১.রক্তে ন্যানোরোবট:

ন্যানোরোবট এখনকার সময়ে সবচেয়ে বেশী উঁচু পর্যায়ের একটি উন্নত চিকিৎসা ব্যাবস্থা। এই ন্যানোরোবট চিকিৎসা ব্যবস্থা দেহের কোষে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং কোষগুলোকে ঠিক করে।  ঔষধ এর পরিবর্তে ন্যানোরোবট দেহের অভ্যন্তরীন সমস্যার সয়ংক্রীয়তা ঠিক করে । এই পদ্ধতি শরীরের অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। উন্নত দেশগুলোতে এই চিকিৎসা পদ্ধতি  এখন অনুসরন করা হয় কারন এটি শরীরের জন্য ভালো এবং পার্শপ্রতিক্রিয়া নেই বলে শরীরে কোন রকম সমস্যা না করে ঠিক করে। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে রক্তে জীবানু ধ্বং সহ নতুন রক্তে কোষ তৈরী এবং যেকোন আক্রান্ত কোষকে ঠিক করতে সক্ষম।

২.মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করা এবং অনুভূতি প্রতিস্থাপন করা ইত্যাদি এখনো সপ্ন হয়ে আছে। মানুষ চায় তারা সারাজীবন বেঁচে থাকবে এবং রোগমুক্ত থাকবে। এসকল জিনিস একদিন হয়ত সত্যি হবে। brainpreservation.org  চেষ্টা করছেন যেন তারা মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন করতে পারেন এবং সেটি কম্পিউটারে সেভ করতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা চেষ্টা করছেন কিভাবে মস্তিষ্ক প্রতিস্থাপন সহ  রোগ নষ্ট করা যায় এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানের বদৌলতে অদূর ভবিষৎ এ এগুলো একদিন সম্ভবও হবে।

নতুন খোজ:

মস্তিষ্ক কপি করে কম্পিউটারে জমা রাখা এবং প্রতিস্থাপন করা আসলেও ততটা সহজ নয় কারন মস্তিষ্কের অসংখ্য নিউরন রয়েছে । ৮৫ বিলিয়ন নিউরন এমনভাবে নকশা করা যে প্রতোকটি  প্রতোকটির সাথে যুক্ত। মস্তিষ্কে আরও অনেক কোষ রয়েছে যেগুলো অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটা ৩০২ টি নিউরন কোষের মাধ্যমে ৬৩৯৩ টি কোষের সাথে যুক্ত। ৯৫ টি মাসলস এবং ১৪১০ টি জংশনে সম্মিলিত হয়।

৩.রোবট দ্বারা অপরেশন:

রশওয়েল ক্যান্সার অরগানাইজেশন এই রোবোটিক ট্রেনিং এ সব থেকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে এবং এজন্য ধন্যবাদ এর প্রাপ্য “বাফেলো স্কুল এবং ইন: কলেজ”এবং আরপিসিআই । এই ট্রেনিং এর জন্য প্রয়োজন অনেক বছর এর অধ্যাবসায়। একজন পাইলট যেমন একটি প্লেন ওড়ানোর আগে ট্রেনিং করে তেমনি অপরেশন এর জন্যও চাই অধ্যাবসায়। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে কোন ব্যাথা ছাড়াই অপরেশন করা যায় এবং সুস্থ করে তোলা যায়।

৫.হলোগ্রাফিক ছবি:

হসপিটাল হলো এমন একটি জায়গা যেখানে আপনি আপনার রোগ নিয়ে যান সারানোর আশা নিয়ে কিন্তু আপনি কি জানেন যে ইউনাইটেড স্টেট এ প্রতি বছর ১০০,০০০ জন মানুষ ইনফেকশন দ্বারা আক্রান্ত হন? এবার ভাবুন কত জীবানু একজন মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। কিন্তু এসকল কিছু সমাধান এর জন্য উন্নত প্রযুক্তি তৈরি  হয়েছে যা জীবানু থেকে আমাদের রক্ষা করবে।

৭. উন্নত রক্ত পরীক্ষার প্রজুক্তি:

রক্ত পরীক্ষার জন্য বা অন্য শরীরের কোন কাজে কেউই সুঁচ পচ্ছন্দ করেনা। এই লখ্যে সুচবিহীন রক্ত পরীক্ষার নতুন প্রযুক্তি উদ্ভব হয়েছে। নতুন প্রযুক্তি দ্বারা ১/১০০০ ভাগ এর রক্ত পরীক্ষা করা সম্ভব।

উদাহরন স্বরুপ :

সাধারন রক্ত পরীক্ষায় ৩ টি বিষয় প্রাথমিকভাবে দেখা হয় সেটা হলো লাল রক্ত কোষ, সাদা রক্ত কোষ এবং প্লাটিলেক্ষ্যেল্যাাব টেস্ট প্রাইজ:

সিপিটি কোড- ৮৫০২৫

মেডিকেয়ার- S১০.৬৯ এবং  S৫.৩৫

৮.মাইট্রোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ স্থানন্তর:

এই পদ্ধতি একটি অত্যাাধুনিক পদ্ধতি এবং সাধারনত এটি বড় কোন  যেমন লিভার,কিডনি এবং  অন্য অঙ্গ নষ্ট হলে ঠিক করতে প্রয়োগ করা হয়।ইউকে তে এটির জন্য এখন সম্মতির প্রয়োজন হয়।এই প্রযুক্তির প্রয়োগ কখনো সফল এবং কখনো অসফল রয়েছে।

৯.প্লাস্টিক সার্জারী:

এখনকার সময়ে প্লাস্টিক সার্জারী একটি অতি পরিচিত নাম। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে শরীরের যেকোন স্থানে দাগ বা অন্য সমস্যা দূর করা সম্ভব। এটি করার জন্য সম্মতির প্রয়োজন পড়ে এবং এটির মাধ্যমে পোড়া স্থান সহ যে কোন দাগ নিরাময় সম্ভব। মুখ,হাত,পা ইত্যাদি অঙ্গ এই প্রযুক্তর মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব। বিশ্বব্যাপী এই সার্জারী এখন উন্নত চিকিৎসা হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

১০.উদ্দীপক এবং ক্ষমতা:

মানুষের যাবতীয় অঙ্গ প্রতঙ্গ বিভিন্ন ইন্দ্রিয় দ্বারা চালিত হয়। এসকল মস্তিষ্কের বিভিন্ন ইন্দ্রিয় থেকে সম্পন্ন হয় ।মানুষের মস্তিষ্কের বিভিন্ন  গতিবিধি লক্ষ্য করা এব্ং দেখার জন্য প্রযুক্তি রয়েছে যাতে করে তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায় এবং পরীক্ষা করা সম্ভব হয়। এই প্রযুক্তিগুলো একদিন ইতিহাস বদলে দেবে।
Tashrif Amin
Techwriter