Pluto তে বরফের পাহাড় পেল New Horizons মহাকাশযান

অক্টোবর ১১, ২০১৫

NASA র মনুষ্যবিহীন মহাকাশযান থেকে তোলা প্লুটোর ছবিগুলো বিস্তারিত ইতিমধ্যেই তোলপাড় শুরু করে দিয়েছে। নাসার অভিযান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র Maryland  এ আমন্ত্রিত অতিথিদের যখন প্লুটোর বরাফাদৃত ছবিগুলো দেখানো হয়, তখন সেখানে দর্শকদের মধ্যে বিস্ময় এবং মুহুর্মুহু করতালি দেখা যায়।

বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, এখন “এটি পরিষ্কার যে প্লুটো নিস্তেজ এবং মৃত কোন গোলকপিন্ড নয়।” তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে বড় বিস্ময়ের বিষয় হচ্ছে প্লুটোর পৃষ্ঠে খুব স্বল্পসংখ্যক গর্ত দেখা গিয়েছে। এর অর্থ হতে পারে প্লুটো এবং এর চাঁদগুলো এখনো জীবন্ত রয়েছে।”

বুধবার ৭ই অক্টবর,  বিজ্ঞানীরা নিউ হরাইজন্সের তোলা বামন গ্রহ প্লুটোর ছবিগুলো প্রথমবারের মতো প্রদর্শন করেন। প্লুটোর পাশ দিয়ে উড়ে যাবার সময় এই ছবিগুলো তোলে মহাকাশযানটি।

Pluto অভিযানের প্রধান বিজ্ঞানী Alan Stern মন্তব্য করেন, “এখন আমরা এমন একটি বিচ্ছিন্ন, ছোট গ্রহ পেয়েছি যেটি সাড়ে চারশো কোটি বছর পরেও সক্রিয় রয়েছে।”

র্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা সৌর পরিবারের নবম এবং বামন গ্রহ হিসেবে পরিচিত প্লুটোর ছবি প্রকাশ করার পর  বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এক বছর ধরে তোলা এই ছবিতে বরফের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। সেখানে আছে নীল আকাশ। আছে অন্ধকারাচ্ছন্ন মাঠ এবং বাতাসে উড়ে আসা বালির স্তূপ। বিজ্ঞানীরা জানান, NASA’s New Horizons এর পাঠানো প্লুটোর ছবি দেখার পর তারা নিজেরাও বিস্মিত হয়েছেন।

প্লুটোর আকাশও অনেকটা পৃথিবীর মতো নীলাভ জানিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই স্তরটিকে সূর্যের আলো বিকীর্ণ করে এ রঙের সৃষ্টি করেছে। এর আগে  প্লুটোর সব সাদা-কালো ছবিতে ১শ ৩০ কিলোমিটার উপরে হালকা স্তর ধরা পড়লেও তার রঙ বোঝার উপায় ছিল না। গত ১৪ জুলাই থেকে পাঠানো রঙিন ছবির তথ্য বিশ্লেষণ করে নাসার বিজ্ঞানীরা গত বৃহস্পতিবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।

এর আগে গোলাপি আকাশের গ্রহ মঙ্গলে প্রবহমান পানির অস্তিত্বের ইঙ্গিত দিয়েছিল NASA। পৃথিবী থেকে ৫শ কোটি দূরত্ব অতিক্রম করে প্লুটোর ছবি নিচ্ছে New Horizons। প্লুটোর বায়ুমণ্ডলে পৃথিবীর মতোই Nitrogen প্রধান Atmosphere  রয়েছে। তবে মিথেনের উপস্থিতিতে সূর্যালোকের অতি বেগুনি রশ্মির সঙ্গে বিক্রিয়ায় এটি কণার মতো কুয়াশার চাদর তৈরি করতে পারে। পৃথিবী থেকে যাত্রা করার ৯ বছর পর গত জুলাইতে নিউ হরাইজনস প্রথম নভোযান হিসেবে প্লুটো গ্রহে পৌঁছে। প্লুটোর আকাশও অনেকটা পৃথিবীর মতো নীলাভ জানিয়ে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই স্তরটিকে সূর্যের আলো বিকীর্ণ করে এ রংয়ের সৃষ্টি করেছে। গত ১৪ জুলাই থেকে পাঠানো রঙিন ছবির তথ্য বিশ্লেষণ করে নাসার বিজ্ঞানীরা গত বৃহস্পতিবার তা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করেন।

‘এই নীলাভ স্তর আমাদের কুয়াশার সেই চাদরের আকার এবং গঠনের কথা বলবে,’ বলেন নিউ হরাইজনের গবেষক দলের সদস্য Karl Whet। তিনি বলেন, প্লুটো থেকে সরাসরি যদি উপরে তাকানো হয়, তবে বায়ুমণ্ডলের কারণে আকাশ কালোই দেখাবে। তবে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সময় তা দেখাবে নীল। নিউ হরাইজনসের গবেষক দলের প্রধান অ্যালান স্টার্ন বলেন, আমার ধারণা, আমরা এসব ছবি তোলার আগে কোনো শিল্পী যদি প্লুটোর এই দৃশ্য তার তুলিতে তুলে ধরতেন তাহলে সেটাই সেরা বলে ধরা হতো।

বিজ্ঞানীরা জানান, প্লুটো আমাদের কাছে ভূমি গঠনের বৈচিত্র্য এবং প্রক্রিয়ার জটিল বিষয়গুলো সামনে এনেছে। আর এটা সৌরজগতে আমরা যা দেখেছি তার চেয়ে ভিন্ন মাত্রার হতে পারে। বামন গ্রহণের বরফের স্তূপ দেখে মনে হয়েছে, কোনো পর্বতাঞ্চল থেকে প্রবাহিত হয়ে এসেছে। নিউ হরাইজনসের Geology, Geophysics এবং ইমেজিংয়ের প্রধান Jeff Moor’র মতে, এর ভূ-পৃষ্ঠ মঙ্গলের মতোই জটিল প্রকৃতির।

 

Tech Writer – Techmorich