Pain free injection

আসছে ব্যাথামুক্ত ইঞ্জেকশন!

আগস্ট ২৭, ২০১৫

ইঞ্জেকশনের সূঁচের খোঁচাকে ভয় পান না এমন মানুষ খুব কমই আছে। বাচ্চা থেকে শুরু করে পূর্ণ বয়ষ্করাও খুব শংকিত থাকেন শরীরে সুই ফোটানোর ঠিক আগ মুহুর্ত পর্যন্ত। এমন স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতাও আছেন যিনি ১৫-২০ বার রক্তদান করার পরেও সুইয়ের ব্যাথার ভয়ে চোখ-মুখ শক্ত করে রাখেন। এই স্বাভাবিক ভীতির দিন শেষ হতে চলেছে! Medical science এর এই চরম উৎকর্ষতার যুগে রাত-দিন গবেষণা হচ্ছে ইঞ্জেকশনকে ব্যাথামুক্ত করা বা এর বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবনের জন্য। আজ আমরা দেখব needle free injection technology এর সাম্প্রতিক কিছু গবেষণার ফলাফল।

Gadget Pill

Novartis নামক pharmaceutical company ইঞ্জেকশনের বিকল্প খুঁজতে গবেষণা করছে। গ্যাজেট পিল অনেকটা আমাদের পরিচিত ক্যাপসুলের মত। এর বাইরে থাকে একটা polymer এর আবরণ। আরো থাকে চিনি দিয়ে গঠিত সূক্ষ্ম অনেকগুলো সূঁচ। ক্যাপসুলের ভেতরে সাইট্রিক এসিড (citric acid) ও বেকিং সোডা (baking soda) সমৃদ্ধ দুটি চেম্বার থাকে। পানি দিয়ে গিলে খাওয়ার পর এই robotic pill যখন আমাদের অন্ত্রে পৌঁছে তখন এর উপরে থাকা পলিমারের আস্তরটি গলে যায়। এরপর সাইট্রিক এসিড ও বেকিং সোডার বিক্রিয়ায় কার্বন ডাই অক্সাইড (Carbon dioxide, CO2) উৎপন্ন হয় যা একটু ক্ষুদ্র বেলুন ফুলাতে সাহায্য করে। এই বেলুনের মাধ্যমে sugar needle-গুলো জীবদেহের অন্ত্রে (intestine) গেঁথে যায়। তখন মূল ওষুধটি অন্ত্রের মাধ্যমে রক্তে মিশে যায়। গ্যাজেট পিল নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। এটি ব্যবহারের জন্য আরো অন্তত বছর তিনেক অপেক্ষা করতে হবে।

CDC Microneedle Patch

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানী Catalent উদ্ভাবন করেছে এটি। জিহ্বার নিচে রাখার ৫ সেকেন্ডের মধ্যে এর ভিতরে থাকা vaccine বা medicine রক্তে মিশে যাবে। ছোট্ট এই ট্যাবলেটের মাধ্যমে ফ্লু এর একটি ভ্যাক্সিন তারা ইতমধ্যে ইঁদুরের উপর প্রয়োগ করে সফল হয়েছে। তরল ভ্যাক্সিনগুলো নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষন করতে হয়। আর এর মেয়াদও খুব বেশি দিন থাকে না। কিন্তু তাদের একটা ট্যাবলেট চার বছর পর্যন্ত ব্যবহার উপযোগি থাকবে।

Press On

আমেরিকার Centers for Disease Control (CDC) এটা নিয়ে কাজ করছে Georgia Institute of Technology এর সাথে। অনেকটা ব্যান্ডেজের মত দেখতে এই medical product-টিতে রয়েছে ১০০ টি microneedle বা অতি সূক্ষ্ম সূঁচ। এই সুইগুলো পলিমার ও সুগার ও ভ্যাক্সিনের সমন্বয়ে গঠিত। জীবদেহের ত্বকে এটি ব্যান্ডেজের মত লাগিয়ে দিলে এর সুঁচগুলো গলে রক্তে মিশে যায়। শহর থেকে দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে, যেখানে যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না সেসব জায়গায় এটি হবে বেশি কার্যকর একটা ব্যবস্থা। খুব সহজেই বহন ও সংরক্ষন করা যাবে। আর এর ব্যবহার বিধিও খুব সহজ। গবেষক দল এর মাধ্যমে ম্যালেরিয়া (malaria ) এর ভ্যাক্সিন বানরের দেহে প্রয়োগ করে সফল হয়েছে। পরবর্তীতে তারা মানবদেহেও এর প্রয়োগ করবেন কিন্তু সেটা ২০১৭ সালের আগে নয়।

Tech Analyst – Techmorich