ড্রোন ক্রমে পরিণত হচ্ছে দৈনন্দিন ব্যবহার্য গ্যাজেটে।

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৭

প্রযুক্তিবিশ্বে প্রতিনিয়ত সংযুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গ্যাজেটস, ডিভাইস, এপ্স, যন্ত্রাংশ।  প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত অবিশ্বাস্য সেই চালকবিহীন উড়ন্ত যানটি ক্রমে পরিণত হচ্ছে দৈনন্দিন ব্যবহার্য গ্যাজেটে ।

বর্তমানে ড্রোনের ব্যবহার প্রায় সর্বত্রই হচ্ছে। ইউএন, আর্মি, নেভী,  আন্তজার্তিক সেনাগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা হিসাবে রয়েছে এর ব্যবহার। সংক্রিয় এই প্রযুক্তি মানুষের সীমাবদ্ধতাকে কাটিয়ে পৌঁছাচ্ছে এক নতুন শিখরে।

বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ড্রোন “DJI Phantom 4” যার বাজার মূল্য ৮৭১ ইউএস ডলার।  দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে “Holy Stone F181” এবং এর পরেই অবস্থান করছে “Holy Stone HS170 Mini”। প্রতিনিয়ত এমন উন্নত থেকে উন্নততর ড্রোনের সৃষ্টি হচ্ছে। যেমন পেন্টাগন নামক একটি প্রতিষ্ঠান একঝাঁক ড্রোন আবিষ্কার করেছে যা কোন নির্দেশ ছাড়াই শত্রুদলকে নিমেষেই শেষ করতে পারে।

আশানুরূপ হলেও সত্য যে বাংলাদেশেও ড্রোন এর ব্যবহার হচ্ছে বাণিজ্যিক ভাবে । ভিডিও ফিল্মিং,নৌবাহিনী জলসীমা নিরাপত্তা সহ নানা ক্ষেত্রে হচ্ছে এর ব্যবহার । সম্প্রতি বরিশাল এর পটুয়াখালিতে কয়েকটি ড্রোন এর সাহায্যে ফসলের মাঠের ছবি তোলা হয়েছে পর্যবেক্ষণের জন্য। যা কিনা বাংলাদেশের কৃষিকে আরো স্বনির্ভর করতে সাহায্য করবে ।

ড্রোনের ব্যবহার প্রতিনিয়তই বাড়ছে।সেই সাথে এর অপব্যবহারকারীরাও পিছিয়ে নেই। আমরা যদি এর প্রয়োজনীয়তাটা বুঝে  ব্যবহার করি তবে এই প্রযুক্তিকে অনেক দূর নিয়ে যাওয়া সম্ভব ।

 

Prottay Kumar Adhikary
Techwriter